কলার উপকারিতা ও অপকারিতা
কলার উপকারিতা ও অপকারিতা: কলা এক প্রকারের বিশ্বব্যাপী সবার জনপ্রিয় ফল।
সাধারণত উষ্ণ জলবায়ু সম্পন্ন দেশসমূহে কলা খুব ভাল জন্মায়। তবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াই কলার উৎপত্তিস্থল হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বহু দেশে কলা অন্যতম প্রধান ফল।বিশিষ্টউদ্ভিদ বিজ্ঞানী মালানের মতে ভারতবর্ষ ও চীন কলার জন্মভুমি। কিন্তু আরেক বিশিষ্ট উদ্ভিদ বিজ্ঞানী হিল পাক-ভারত ও মালয়কে কলার উৎপত্তিস্থল বিবেচনা করেছেন।
কলাগাছ একটি বীরুৎ শ্রেণির উদ্ভিদ। আবার এটি একবীজপত্রী উদ্ভিদ। অধিকাংশ জাতের গাছই বহুবর্ষজীবী । মাটির নিচে রাইজোম বা কন্দ এবং মাটির ওপরে একটি ছদ্মকাণ্ড বা সিউডোস্টেম নিয়ে এ গাছ গঠিত। কাণ্ড ও পাতা উভয়ই সবুজ হয়।
বাংলাদেশে কলার প্রায় ১৯টি জাত রয়েছে । পার্বত্য এলাকায় বাংলা কলা, বন কলা, মামা কলা ইত্যাদি নামেও কলার কিছু বুনো জাত দেখা যায়। তবে আশার কথা ক্রমশ কলার জাতের সংখ্যা বাড়ছে। গাছের বৈশিষ্ট্য অনুসারে বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতের কলা গাছকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে যথা: লম্বা জাতের গাছ ও খাটো জাতের গাছ। পাকা অবস্থায় খাওয়ার জন্য কলার জাত ৪ প্রকার
১। সম্পূর্ণ বীজমুক্ত কলা: যেমন-সবরি, অমৃতসাগর, অগ্নিশ্বর, দুধসর, দুধসাগর প্রভৃতি ।
২। দুই-একটি বীজযুক্ত কলা: যেমন-চাম্পা, চিনিচাম্পা, কবরী, চন্দন কবরী, জাবকাঠালী ইত্যাদি ।
৩। বীজযুক্ত কলা: এটেকলা যেমন-বতুর আইটা, গোমা, সাংগী আইটা ইত্যাদি ।
৪। আনাজী কলাসমুহ:যেমন-ভেড়ার ভোগ, চোয়াল পউশ, বর ভাগনে, বেহুলা, মন্দিরা, বিয়েরবাতি প্রভৃতি।
১টি কলায় কত ক্যালরি? – কলার পুষ্টিগুন বা কলার গুনাগুন,প্রতি ১০০ গ্রাম পরিমাণ কলায় যে খাদ্যগুণ আছে তার বিশ্লেষণ নিম্নরূপঃ
প্রতি১০০গ্রাম পরিমাণ কলায় উপাদান পরিমাণ
পানি (জল)৭০.১%,
আমিষ১.২%,
ফ্যাট (চর্বি)০.৩%,
খনিজ লবণ০.৮%,
আঁশ০.৪%,
শর্করা৭.২%,
মোট১০০.০%।
খনিজ লবণ এবং ভিটামিন উপাদান পরিমাণ
ক্যালসিয়াম৮৫মি.গ্রা.,
ফসফরাস৫০মি.গ্রা.,
আয়রন ০.৬মি.গ্রা.,
ভিটামিন-সি,
অল্প ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স৮মি.গ্রা.
মোট ক্যালরি১১৬মি.গ্রা.।
২০১৭ সালে সারা বিশ্বে পাকা কলা এবং কাঁচা কলার মোট উৎপাদন ছিল ১৫৩১ লক্ষ টন। মোট উৎপাদনের ২৭% এর বেশি ভারত ও চীন এই দুটি দেশ মিলে করেছিল।
কলা খাওয়ার সঠিক সময়/খালি পেটে কলা খেলে কি হয়
কলা খেতে ভালবাসলেই হবে না,যারা কলা খেতে পছন্দ করেন তাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে কলা খাওয়ার সঠিক সময় কখন? মূলত সকাল বেলাই খাওয়া উচিৎ। সকাল বেলা কলা খেলে সারাদিন এর উপকারিতা পাওয়া যায়। তবে সকালে এটি খেলেও খালি পেটে কিন্তু খাওয়া একেবারে ঠিক নয়। খালি পেটে কোনোভাবেই খাওয়া উচিৎ না। সকাল বেলায় খেলেও অন্য যে কোনো খাবারের সাথে মিশিয়ে বা অন্য কোনো প্রকার নাস্তা খাওয়ার পর এটি খাওয়া উচিৎ।
অতিরিক্ত কলা খেলে কি হয়?
যারা অতিরিক্ত কলা খায় তারা মাঝে মাঝে খুব ভয় পায়।অতিরিক্ত কলা না জানি কি হয়?আমরা আজকে খুব সহজে জানাবো অতিরিক্ত কলা খেলে কি হতে পারে।
হাইপারক্যালেমিয়া:
রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে এই রোগ দেখা দেয়।হাইপারক্যালেমিয়া রোগে আক্রান্তরা খুব সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন অনিয়মিত হয়ে পড়ে।কলায় পটাশিয়াম বিদ্যমান থাকে,তাই কলা বেশি খেলে হাইপারক্যালেমিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ক্লান্তি ভাব :
পাকা কলাতে ট্রিপটোফ্যান আমাইনো অ্যাসিড থাকে। এই অ্যামাইনো অ্যাসিডের প্রভাবে আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়। কোন কিছু করতে বা ভাবতে মন চায় না,দেহে ক্লান্তি আসে এবং সব সময় ঘুম পায়।
নার্ভ এর সমস্যা :
ভিটামিন বি৬ বেশি খেলে,খাওয়ার প্রভাবে স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হয়ে থাকে। যার প্রভাব সারা শরীরে থাকে।কলায় এই ভিটামিনের আধিক্য আছে তাই খুব বেশি কলা খেলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মাইগ্রেন:
কলায় টাইরামাইন নামে এক ধরনের উপাদান থাকে,তার কারণে মাইগ্রেন সমস্যা হতে পারে, তাই কারো যদি মাইগ্রেনের সমস্যা থাকে তাহলে তাদের যতটা সম্ভব কলা এড়িয়ে চলা উচিত।
দাঁতের ক্ষয়:
বেশি পরিমাণে শর্করা থাকায় বেশি কলা খেলে দাঁতের ক্ষতি হয়। প্রায় সময় বলা হয় কলা নাকি চকোলেটের থেকেও বেশি ক্ষতিকর।
ওজন বৃদ্ধি:
একটি মাঝারি সাইজের পাকা কলায় ১০৫ ক্যালোরি শক্তি থাকে। তাই বেশি পরিমাণে কলা খেলে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে।
অ্যালার্জি হওয়া :
কলা কারনে অনেক সময়ই অ্যালার্জির হয়ে থাকে। অনেক সময় কলা বেশি পরিমাণে খেলে ঠোঁট ফুলে যায়, গলা জ্বালা করে।
পেট ব্যথা:
আমরা বাজার থেকেই কলা কিনে থাকি।বাজার থেকে কেনা কলার বেশির ভাগই রাসায়নিকের সাহায্যে পাকানো হয়। এ ছাড়াও কলায় শর্করার পরিমাণ খুব বেশি থাকে। এ সব কারণে পেট ব্যথা হতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য:
কলা আমাদের বৃহদন্ত্রের চলনে সাহায্য করে থাকে। কিন্তু আবার বেশি পরিমাণ কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ও দেখা যেতে পারে।
গ্যাস তৈরি হওয়া :
কলাতে থাকে ফ্রুক্টোজ এবং ফাইবার,যা এক সাথে মিলে গ্যাস সৃষ্টি করতে পারে।
শ্বাস নিতে সমস্যা:
যাঁদের শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা আছে বেশি পরিমাণে কলা খেলে তা বেড়ে যেতে পারে।
ডায়াবেটিস:
কলাতে সুগারের পরিমাণ বেশি থাকায় বেশি পরিমাণে কলা খেলে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা থাকে।
বাচ্চাদের জন্য কলার আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা বা শিশুদের কলা খাওয়ার উপকারিতা
একটি শিশু দিনে কতটা কলা খেতে পারে? বা কলা কি প্রতিদিন বাচ্চাদের জন্য ভাল? বা একজন শিশু কতগুলো কলা প্রতিদিন খেলে তার স্বাস্থ্য জন্য ভালো হবে,বা কতগুলো কলা একজন শিশু প্রতিদিন খেতে পারবে?এই বিষয় নিয়ে আমরা অনেক ভেবে থাকি। এ বিষয়ে কিছু সাধারণ তথ্য আমরা আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।
উত্তর হ্যাঁ। একটি শিশুকে সারাদিনে একটি ছোট কলা দেওয়া উচিত। কলা খুব বেশি খাওয়া শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে।
কলা শিশুদের সাথে পরিচয় করানো উচিত কখন?
ডাক্তাররা বলে থাকেন যে, আপনি ছয় মাস বয়স হতে আপনার বাচ্চাকে কলা দিন,ছয় মাসের বাচ্চার জন্য প্রতিদিন একটি ছোট কলা খাওয়া আদর্শ।
পুষ্টিতে পরিপূর্ণ :
কলাতে প্রধানত লোহা, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফোলেট, নিয়াসিন এবং ভিটামিন বি ৬-এর মত উপাদান থাকে। যা একজন শিশু জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, শিশুর ঠিকঠাক ওজন জন্য এইসব উপাদান গুলো প্রধান ভূমিকা পালন করে।
মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধি :
আমরা আগেই জেনেছি কলাতে ফোলেট বিদ্যমান থাকে।আমাদের মস্তিষ্কের বিকাশ এবং স্মৃতি শক্তি উন্নত করতে এই ফোলেট সহায়তা করে। এটি মস্তিষ্কের ক্ষতি প্রতিরোধ করে,মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধি করে।
দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত করে:
কলার মধ্যে ভিটামিন এ বিদ্যমান থাকে যা শিশুদের দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
ফাইবারে পূর্ণতা:
কলাতে উচ্চতর ফাইবার বিদ্যমান রয়েছে যা শিশুদের অন্ত্র পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।এই ফাইবার শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে।
হাড়ের সঠিক গঠন :
কলার মধ্যে থাকে পটাসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম, যা হাড়কে শক্তিশালী ও ক্রমবর্ধনে সাহায্য করে থাকে।
অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে:
কলাতে লোহা উপাদান বিদ্যমান থাকে,রক্তের মধ্যে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনের জন্য কলার লোহায় অনেকটা সাহায্য করে। এটা শিশুর শরীরের লাল রক্ত কোষ সংশ্লেষণ করতে সাহায্য করে।
পাকা কলার উপকারিতা:
কলার মধ্যে রয়েছে খনিজ লবণ, ভিটামিন ও নানা ধরনের খাদ্যগুন। এই সবের জন্য কলা আমাদের শরীর গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে।কলার উপকারিতা ও অপকারিতা, কলার উপকারিতা কি? আমাদের মাঝে অনেকে কলা খেতে ভালোবাসে তাদের জন্য কলার কিছু উপকারিতা আলোচনা করা হয়েছে।যেমনঃসাগর কলা, বিচি কলা, বাংলা কলা
১। মস্তিষ্ক ভাল রাখা ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে কলা:
দিনে একটি কলা খেলে মস্তিস্কের স্মৃতিভান্ডার খুব শক্তিশালী হয়,তাতে স্মতিশক্তি বাড়ে।কলার মাঝে পটাশিয়াম থাকার ফলে আমাদের মনঃসংযোগ বৃদ্ধি পায়। কলার মাঝে আরো বিভিন্ন উপাদান আমাদের মস্তিস্কের খাদ্যের জোগান দিয়ে থাকে।
২। কলা ডিপ্রেশান বা মানসিক চাপ কমায়ঃ
কলাতে বিদ্যমান থাকে ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো এসিড যা কলার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান,এরা এক ধরনের প্রোটিন। এই উপাদান রক্তে মিশে যাওয়ার পর রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে তা সেরাটোনিনে রূপান্তর হয়।আমরা যে আনন্দিত হই সেই আনন্দদায়ক অনুভূতি সৃষ্টির জন্যই সেরাটোনিন কাজ করে। সেরাটোনিনের সঠিক মাত্রা হলে আমাদের মন ভাল থাকে ও মানসিক চাপ কমে।কলার মাঝে আরো রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম যা বিষণ্ণতা দূর করতে সাহায্য করে।
৩। কলা স্নায়ুকে শান্ত রাখে:
কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি; যা আমাদের স্নায়ুকে শান্ত থাকতে সাহায্য করে।কার্বোহাইড্রেটে পূর্ণ হওয়ায় কলা আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রেখে এবং স্নায়বিক চাপ কমাতে অনেকটা সাহায্য করে।
৪। কলা হার্ট ভালো রাখে:
কলাতে রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম, এটি হার্টের পেশিগুলোকেসবসময় সতেজ রাখে। হার্ট অ্যাটাক এর ঝুঁকি কমায়।
৫। কলা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করতে সাহায্যে করেঃ
ডায়াবেটিস হলে রক্তে সুগার এর পরিমান বেশি থাকে। আপনি মিষ্টি বা শর্করা জাতীয় খাবার খেলে তা শরীরে দ্রুত হজম হয় এবং তা রক্তে মিশে যায়,তাতে রক্তে শর্করার পরিমাণ আরো বৃদ্ধি করে। এতে করে ডায়াবেটিস এর মাএা বেড়ে যায়। কম পাকা কলাতে যে শর্করা উপস্হিত থাকে তা হল রেসিস্ট্যান্ট স্টার্চ,এটি সহজে হজম হয় না।এটি অল্প করে হজম হয়ে রক্তে মেশে ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে।
৬। কলা কিডনিকে সুস্থ রাখেঃ
কলাতে থাকে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। যা কিনডির কাজ সঠিকভাবে সম্পূর্ন করতে সাহায্য করে।
৭। শক্তির উৎস কলা:
দ্রত শক্তি পেতে কলা ভালো উৎস হিসেবে বিবেচনা করা যায়।কলায় আছে প্রচুর গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ এগুলো হজম করার দরকার নেই শুধু রক্তে মিশে যায়।,আর ও আছে ক্যালােরী। এগুলো দ্রত শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে।
৮। কলা দূর্বলতা দূর করে:
হঠাৎ অসুস্থ বা অতিরিক্ত জ্বর কিংবা ওজন কমে গেলে শরীর অনেকটা দুর্বল হয়ে যায়। এসময়ে,কলা খেলে শরীরে শক্তি সঞ্চার হয় এবং তাড়াতাড়ি দুর্বলতা কেটে যায়।
৯। কলা রক্ত বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখেঃ
কলায় রয়েছে প্রচুর আয়রণ বা লৌহ; আর ও আছে ভিটামিন বি-৬যা রক্তে হিমােগ্লোবিন উৎপাদনে সাহায্য করে এবং রক্তের লোহিত কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি করে।যারা রক্ত শূন্যতায় ভুগছেন, তাদের জন্য কলা হতে পারে খুবই উপকারী।
১০। আলসার হলে:
পাকা কলা নরম হওয়ার জন্য পেটের সমস্যায়, এটি খুবই উপকারী খাবার হিসেবে ভাবা হয়।পেটে আলসার হলে কলা খেতে বলা হয়,কারন কলাতে রয়েছে মিউসিলেজ যা পাকস্থলীর ভেতরের প্রাচিরে ক্ষতিগ্রস্ত মিউকাস পর্দাকে সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।আবার কলার ফাইবার গ্যাস্ট্রিক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমিয়ে দেয়।
১১। কলা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ
কলায় আছে প্রচুর ক্যারোটিনয়েড নামক এন্টি অক্সিডেন্ট, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। এতে রোগের ঝুকি অনেক কমে যায়।
কলার অপকারিতা:
কলা উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা হল,এখন কিছু অপকারিতা জেনে নেয়া যাক।কলার উপকারিতা ও অপকারিতা,কলার অপকারিতা কি?
১। একেবারে খালিপেটে কলা খাওয়া যাবে না,খালি পেটে কলা খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যাবে।
২। বেশি কলা খেলে,যাঁদের শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা আছে তাদের সেই সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
৩। বেশি কলা খেলে শরীরে ম্যাগনেশিয়াম বেড়ে যায়,ফলে উচ্চ মাত্রার ম্যাগনেশিয়ামের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয় এতে করে হার্টের রোগ হতে পারে।
৪। ডায়াবেটিকস রোগীর সুগার অনেক বেশি হলে পাকা কলা খাওয়া ঠিক হবে না। এটি আপনার সুগার লেভেল আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
৫। যাদের দেহের পটাসিয়াম লেভেল বেশি থাকে,তাদের কলা খাওয়ার ব্যাপার সাবধান হওয়া উচিত। কারন কলাতে রয়েছে পটাশিয়াম,যা দেহের পটাশিয়ামকে আর ও বাড়াবে ফলে হাইপারক্যালিমিয়া রোগ হবে।এর ফলে পেশির খিঁচুনি, মাথা ঘোরা, কিডনির জটিলতা,মত আরও নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। জটিলতা, মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তথ্য সূত্রঃউইকিপিডিয়া
শেষের কথা
আজকের পোস্ট এর মাধ্যমে সবাই কলা উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে কিছুটা হলেও জানতে পেরেছেন।তবে শুধু নিজে জানলেই হবে? আপনার পরিচিতি জন, বন্ধু,বান্ধবীদেরকেও জানাতে হবে!ভাল লাগলে শেয়ার করবেন,কলার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আপনার কোন তথ্য জানা থাকলে কমেন্ট এ জানাবেন,আমরা আপনার নাম সহ আপনার মূলবান তথ্য এই পোস্ট এর সাথে আপডেট করব।সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।