সূরা ইয়াসিন আরবি সহ বাংলা উচ্চারণ ও ফজিলত
সূরা ইয়াসিন/surah e yasin
সূরা ইয়াসিন সম্পূর্ণ আরবি সহ বাংলা উচ্চারণ ও ফজিলত।সূরা ইয়াসিন কোরআনের শরীফের ৩৬ তম সূরা।সূরা ইয়াসিন এর আয়াত সংখ্যা মোট ৮৬ এবং রুকু ৫টি। হজরত মুহাম্মদ (সা.)- এর নবুয়ত লাভের শুরু দিকে এবং হিজরতের অনেক আগে পবিত্র মক্কায় এই সুরা ইয়াসিন অবতীর্ণ হয়েছে। এই সূরা থেকে পবিত্র কোরয়ানের বিশালত্ব সম্পর্কে সম্যক ধারনা লাভ করা যায়।
এক নজরে সূরা ইয়াসিন সম্পূর্ণ
সূরার নামঃ সুরা ইয়াসিন
মাক্কী / মাদানীঃ মাক্কী
সূরা নম্বরঃ৩৬ তম
আয়াত সংখ্যাঃ ৮৩
রুকুর সংখ্যাঃ ৫
সূরা ইয়াসিন কত পারায়ঃ ২২ ও ২৩তম পারা
সুরা ইয়াসিন এর শানে নুযুল
ইয়াসিন শব্দের অর্থ কি?/সূরা ইয়াসিন শিক্ষা
ইয়াসিন হল দুইটি আরবি শব্দের সমষ্টি। ইয়াসিন শব্দের সঠিক অর্থ একমাত্র আল্লাহ তায়ালাই ভাল জানেন।
সূরা ইয়াসিন কখন নাযিল হয়?
মক্কায় অবস্থান কালে একেবারে শেষ দিনগুলোর একটি সূরা হল সুরা ইয়াসিন। সূরা ইয়াসিন আরবি সহ বাংলা উচ্চারণ ও ফজিলত,আমাদের নবী করীম মুহাম্মদ (সা) নবুওয়াত লাভ করার পর মক্কায় অবস্থানের মধ্যবর্তী যুগের একেবারে শেষের দিনগুলোতে মনে হয় সূরা ইয়াসিন নাযিল হয়।
সূরা ইয়াসিনের আলোচ্য বিষয়/সূরা ইয়াসিন এর শানে নুযুল/সূরা ইয়াসিন এর তাফসির/সূরা ইয়াসিন সম্পূর্ণ
যারা আল্লাহর আদেশ মানে না বা নিদর্শন নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে, এই সূরা ইয়াসিন তাদের পরিণতি সম্পর্কে সতর্কবাণী করেছে। যারা আল্লাহর আনুগত্য প্রকাশ করে না তাদের জন্যও সতর্কবাণী। এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সতর্কবাণী হিসেবে এই সূরা আমাদের কাছে এসেছে।
আমাদের প্রান প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর নবুওয়াতের ওপর কুরাইশ বংশীয় কাফেরদের ঈমান না আনা এবং জুলুম বিদ্রূপের মাধ্যমে তার মোকাবিলা করার কি পরিণাম হয়েছিল, তার ভয় দেখানোই এ সূরা আলোচ্য বিষয়। যা শুধু ভয় নয়, যুক্তি দেখিয়েও বিষয় বস্তু বুঝাবার চেষ্টা করা হয়েছে।
সূরা ইয়াসিন আরবি সহ বাংলা উচ্চারণ ও ফজিলত,এই সূরা শেষের দিকে আল্লাহর সার্বভৌম ক্ষমতা এবং পুনরুত্থানের অস্তিত্বের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে।
সূরা ইয়াসিনের বিষয়বস্তু/সূরা ইয়াসিন সম্পূর্ণ
এই সূরায় মাধ্যমে পবিত্র কুরআনের সমস্ত মূল বিষয়বস্তু আমাদের সামনে এসেছে।সূরা ইয়াসিন মূল বিষয়গুলি:
১। তাওহীদ
২। রিসালাত
৩। আখিরাত
তাওহিদঃ
এটা প্রত্যেক মুমিন মুসলিমদের বিশ্বাস যে, একমাত্র আল্লাহ যিনি সবকিছু সৃষ্টি করেছেন, এবং তিনি সর্ব ক্ষমতাবান,যা আর কারো নেই।
সুতরাং, এই সূরা ইয়াসিন বিভিন্ন নিদর্শন ব্যাখ্যা করে এবং খুব সুন্দর ও সরল ভাবে আল্লাহর একত্বকে ব্যাখ্যা করেছে। আর অবিশ্বাসীদের জন্য এই সুরায় রয়েছে সতর্কবার্তাও।
রিসালাতঃ
আমাদের প্রান প্রিয় মহানবী (সা.) আল্লাহর রাসূল। তিনি সারা বিশ্বে আল্লাহর মহান বাণী আমাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। সমস্ত মুসলিম জাতি আমাদের প্রান প্রিয় মহানবী (সা.)-কে বিশ্বাস করে এবং মহানবী (সা.) আমাদের যে শিক্ষা দিয়েছেন তা অনুসরণ করার চেষ্টা করে।
এই সূরায়, যারা নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর উপর বিশ্বাস করে না এবং আমাদের যে শিক্ষা দিয়েছেন তা অনুসরণ করে না, তাদের জন্য সতর্কবাণী রয়েছে। সূরা ইয়াসিনে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে নবী মুহাম্মদ (সা.) একজন সত্য আল্লাহর রসূল যিনি মুসলমানদেরকে সরল পথে পরিচালিত করেছেন।
আখিরাত:
সূরা ইয়াসিনের অন্যতম প্রধান বিষয় হল আখিরাত মানে পরকালে বিশ্বাস করা। সূরা ইয়াসিন অবিশ্বাসীদের ব্যাখ্যা করে যে, হাশরের দিনে আল্লাহ কিভাবে আবার মানুষকে জীবিত করবেন। মহান আল্লাহই সর্বোচ্চ এবং চূড়ান্ত ক্ষমতা অধিকারী।
আরও পড়ুনঃ সূরা মূলক(Surah Al-Mulk)
সূরা ইয়াসিন বাংলা/সূরা ইয়াসিন অর্থসহ তেলাওয়াত/surah a yasin/সূরা ইয়াসিন আরবি উচ্চারণ/সূরা ইয়াসিন সম্পূর্ণ/সূরা ইয়াসিন আরবি
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
(পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি)।
(1)
يس
- ইয়া-সী-ন্
- ইয়া সীন।
(2)
وَالْقُرْآنِ الْحَكِيمِ
- অল্ ক্বর্ আ-নিল্ হাকীম্।
- শপথ জ্ঞানগর্ভ কুরআনের।
(3)
إِنَّكَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَ
- ইন্নাকা লামিনাল্ র্মুসালীন্।
- তুমি অবশ্যই রাসূলদের অন্তর্ভুক্ত।
(4)
عَلَىٰ صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ
- আলা-ছির-ত্বিম্ মুস্তাক্বীম্
- তুমি সরল পথে প্রতিষ্ঠিত।
(5)
تَنْزِيلَ الْعَزِيزِ الرَّحِيمِ
- তান্যীলাল্ ‘আযীর্যি রহীম্।
- কুরআন অবতীর্ণ পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু আল্লাহর নিকট হতে।
(6)
لِتُنْذِرَ قَوْمًا مَا أُنْذِرَ آبَاؤُهُمْ فَهُمْ غَافِلُونَ
- লিতুন্যিরা ক্বওমাম্ মা য়উন্যিরা আ-বা-য়ুহুম্ ফাহুম্ গ-ফিলূন্ ।
- যাতে তুমি সতর্ক করতে পার এমন এক জাতিকে যাদের পিতৃ-পুরুষদেরকে সতর্ক করা হয়নি, যার ফলে তারা গাফিল।
(7)
لَقَدْ حَقَّ الْقَوْلُ عَلَىٰ أَكْثَرِهِمْ فَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ
- লাক্বাদ্ হাকক্বল্ ক্বওলু ‘আলা য় আক্ছারিহিম্ ফাহুম্ লা-ইয়ুমিনূন্।
- তাদের অধিকাংশের জন্য সেই বাণী অবধারিত হয়েছে; সুতরাং তারা ঈমান আনবেনা।
(8)
إِنَّا جَعَلْنَا فِي أَعْنَاقِهِمْ أَغْلَالًا فَهِيَ إِلَى الْأَذْقَانِ فَهُمْ مُقْمَحُونَ
- ইন্না-জ্বা‘আল্না-ফী য় আ’না-ক্বিহিম্ আগ্লা-লান্ ফাহিয়া ইলাল্ আয্ক্বা-নি ফাহুম্ মুকমাহূন্।
- আমি তাদের গলদেশে চিবুক পর্যন্ত বেড়ি পরিয়েছি, ফলে তারা উর্ধ্বমুখী হয়ে গেছে।
(9)
وَجَعَلْنَا مِنْ بَيْنِ أَيْدِيهِمْ سَدًّا وَمِنْ خَلْفِهِمْ سَدًّا فَأَغْشَيْنَاهُمْ فَهُمْ لَا يُبْصِرُونَ
- অজ্বা‘আল্না-মিম্ বাইনি আইদী হিম্ সাদ্দাঁও মিন্ খল্ফিহিম্ সাদ্দান্ ফায়াগ্শাইনা-হুম ফাহুম্ লা-ইয়ুব্ছিরূন্।
- আমি তাদের সম্মুখে প্রাচীর ও পশ্চাতে প্রাচীর স্থাপন করেছি এবং তাদেরকে আবৃত করেছি, ফলে তারা দেখতে পায়না।
(10)
وَسَوَاءٌ عَلَيْهِمْ أَأَنْذَرْتَهُمْ أَمْ لَمْ تُنْذِرْهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ
- অসাওয়া-য়ুন্ ‘আলাইহিম্ আ আর্ন্যাতাহুম্ আম্ লাম্ তুর্ন্যিহুম্ লা-ইয়ুমিনূন্।
- তুমি তাদেরকে সতর্ক কর কিংবা না কর তাদের জন্য উভয়ই সমান; তারা ঈমান আনবেনা।
(11)
إِنَّمَا تُنْذِرُ مَنِ اتَّبَعَ الذِّكْرَ وَخَشِيَ الرَّحْمَٰنَ بِالْغَيْبِ ۖ فَبَشِّرْهُ بِمَغْفِرَةٍ وَأَجْرٍ كَرِيمٍ
- ইন্নামা-তুন্যিরু মানিত্তাবা‘আয্ যিকর অখশির্য়া রাহ্মা-না বিল্গাইবি ফাবার্শ্শিহু বিমাগ্ফিরতিঁও অআজরিন্ কারীম্।
- তুমি শুধু তাদেরকেই সতর্ক করতে পার যারা উপদেশ মেনে চলে এবং না দেখে দয়াময় রাহমানকে ভয় করে। অতএব তুমি তাদেরকে ক্ষমা ও মহা পুরস্কারের সংবাদ দাও।
(12)
إِنَّا نَحْنُ نُحْيِي الْمَوْتَىٰ وَنَكْتُبُ مَا قَدَّمُوا وَآثَارَهُمْ ۚ وَكُلَّ شَيْءٍ أَحْصَيْنَاهُ فِي إِمَامٍ مُبِينٍ
- ইন্না-নাহ্নু নুহ্য়িল্ মাওতা- অনাক্তুবু মা-ক্বাদ্দামূ অআ-ছা-রহুম্; অকুল্লা শাইয়িন্ আহ্ছোয়াইনা-হু ফী য় ইমা-মিম্ মুবীন্।
- আমিই মৃতকে করি জীবিত এবং লিখে রাখি যা তারা অগ্রে প্রেরণ করে এবং যা তারা পশ্চাতে রেখে যায়, আমি প্রত্যেক বিষয়কে স্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষিত রেখেছি।
(13)
وَاضْرِبْ لَهُمْ مَثَلًا أَصْحَابَ الْقَرْيَةِ إِذْ جَاءَهَا الْمُرْسَلُونَ
- অদ্ব্রিব্ লাহুম্ মাছালান্ আছ্হা-বাল্ র্ক্বইয়াহ্; ইয্ জ্বা-য়াহাল্ র্মুসালূন্।
- তাদের নিকট উপস্থিত কর এক জনপদের অধিবাসীদের দৃষ্টান্ত; তাদের নিকট এসেছিল রাসূলগণ।
(14)
إِذْ أَرْسَلْنَا إِلَيْهِمُ اثْنَيْنِ فَكَذَّبُوهُمَا فَعَزَّزْنَا بِثَالِثٍ فَقَالُوا إِنَّا إِلَيْكُمْ مُرْسَلُونَ
- ইয্ র্আসালনা য় ইলাইহিমুছ্ নাইনি ফাকায্যাবূহুমা- ফা‘আয্যায্না-বিছা-লিছিন্ ফাক্ব-লূ য় ইন্না য় ইলাইকুম্ র্মুসালূন্।
- যখন আমি তাদের নিকট পাঠিয়েছিলাম দু’জন রাসূল, কিন্তু তারা তাদেরকে মিথ্যাবাদী বলল; তখন আমি তাদেরকে শক্তিশালী করেছিলাম তৃতীয় একজন দ্বারা এবং তারা বলেছিলঃ আমরাতো তোমাদের নিকট প্রেরিত হয়েছি।
(15)
قَالُوا مَا أَنْتُمْ إِلَّا بَشَرٌ مِثْلُنَا وَمَا أَنْزَلَ الرَّحْمَٰنُ مِنْ شَيْءٍ إِنْ أَنْتُمْ إِلَّا تَكْذِبُونَ
- ক্বা-লূ মা য় আন্তুম ইল্লা-বাশারুম্ মিছ্লুনা- অমা য় আন্যার্লা রহ্মা-নু মিন্ শাইয়িন্ ইন্ আন্তুম ইল্লা-তাক্যিবূন্।
- তারা বললঃ তোমরাতো আমাদের মত মানুষ, দয়াময় কিছুই অবতীর্ণ করেননি, তোমরা শুধু মিথ্যাই বলছ।
(16)
قَالُوا رَبُّنَا يَعْلَمُ إِنَّا إِلَيْكُمْ لَمُرْسَلُونَ
- ক্ব-লূ রব্বুনা-ইয়া’লামু ইন্না য় ইলাইকুম্ লার্মুসালূন্।
- তারা বললঃ আমাদের রাব্ব জানেন যে, আমরা অবশ্যই তোমাদের নিকট প্রেরিত হয়েছি।
(17)
وَمَا عَلَيْنَا إِلَّا الْبَلَاغُ الْمُبِينُ
- অমা- ‘আলাইনা য় ইল্লাল্ বালা-গুল্ মুবীন্।
- স্পষ্টভাবে প্রচার করাই আমাদের দায়িত্ব।
(18)
قَالُوا إِنَّا تَطَيَّرْنَا بِكُمْ ۖ لَئِنْ لَمْ تَنْتَهُوا لَنَرْجُمَنَّكُمْ وَلَيَمَسَّنَّكُمْ مِنَّا عَذَابٌ أَلِيمٌ
- ক্ব-লূ য় ইন্না-তাত্বোয়াইর্য়্যানা-বিকুম্, লায়িল্লাম্ তান্তাহূ লার্না জুমান্নাকুম্ অলা-ইয়ামাস্ সান্নাকুম্ মিন্না-‘আযা- বুন্ আলীম্।
- তারা বললঃ আমরা তোমাদেরকে অমঙ্গলের কারণ মনে করি। যদি তোমরা বিরত না হও তাহলে তোমাদেরকে অবশ্যই প্রস্তরাঘাতে হত্যা করব এবং আমাদের পক্ষ হতে তোমাদের উপর যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি অবশ্যই আপতিত হবে।
(19)
قَالُوا طَائِرُكُمْ مَعَكُمْ ۚ أَئِنْ ذُكِّرْتُمْ ۚ بَلْ أَنْتُمْ قَوْمٌ مُسْرِفُونَ
- ক্ব-লূ ত্বোয়া-য়িরুকুম্ মা‘আকুম্ আয়িন্ যুর্ক্কিতুম্; বাল্ আন্তুম্ ক্বওমুম্ মুস্রিফূন্।
- তারা বললঃ তোমাদের অমঙ্গল তোমাদেরই সাথে, এটা কি এ জন্য যে, আমরা তোমাদেরকে উপদেশ দিচ্ছি? বস্তুতঃ তোমরা এক সীমা লংঘনকারী সম্প্রদায়।
(20)
وَجَاءَ مِنْ أَقْصَى الْمَدِينَةِ رَجُلٌ يَسْعَىٰ قَالَ يَا قَوْمِ اتَّبِعُوا الْمُرْسَلِينَ
- অজ্বা-য়া মিন্ আকছোয়াল্ মাদীনাতি রাজুলুঁই ইয়াস্‘আ-ক্ব-লা ইয়া-ক্বওমিত তাবি‘উল্ মুরসালীন্
- নগরীর প্রান্ত হতে এক ব্যক্তি ছুটে এলো, সে বললঃ হে আমার সম্প্রদায়! রাসূলদের অনুসরণ কর।
(21)
اتَّبِعُوا مَنْ لَا يَسْأَلُكُمْ أَجْرًا وَهُمْ مُهْتَدُونَ
- ইত্তাবি‘ঊ মাল্লা-ইয়াস্য়ালুকুম্ আজরঁও অহুম্ মুহ্তাদূন্।
- অনুসরণ কর তাদের যারা তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চায়না এবং তারা সৎ পথপ্রাপ্ত।
(22)
وَمَا لِيَ لَا أَعْبُدُ الَّذِي فَطَرَنِي وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
- অমা-লিয়া লা য় আ’বুদুল্লাযী ফাত্বোয়ারানী অ ইলাইহি র্তুজ্বা‘ঊন্।
- আমার কি যুক্তি আছে যে, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং যাঁর নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে আমি তাঁর ইবাদাত করবনা?
(23)
أَأَتَّخِذُ مِنْ دُونِهِ آلِهَةً إِنْ يُرِدْنِ الرَّحْمَٰنُ بِضُرٍّ لَا تُغْنِ عَنِّي شَفَاعَتُهُمْ شَيْئًا وَلَا يُنْقِذُونِ
- আ আত্তাখিযু মিন্ দূনিহী য় আ- লিহাতান্ ইঁইয়্যুরির্দ্নি রহমা-নু বির্দ্বুরিল্ লা-তুগ্নি ‘আন্নী শাফা-‘আতুহুম্ শাইয়াঁও অলা-ইয়ুন্ক্বিযূন্।
- আমি কি তাঁর পরিবর্তে অন্য মা‘বূদ গ্রহণ করব? দয়াময় (আল্লাহ) আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাইলে তাদের সুপারিশ আমার কোন কাজে আসবেনা এবং তারা আমাকে উদ্ধারও করতে পারবেনা।
(24)
إِنِّي إِذًا لَفِي ضَلَالٍ مُبِينٍ
- ইন্নী য় ইযাল্লাফী দ্বলা-লিম্ মুবীন্।
- এরূপ করলে আমি অবশ্যই স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে পতিত হব।
(25)
إِنِّي آمَنْتُ بِرَبِّكُمْ فَاسْمَعُونِ
- ইন্নী য় আ-মান্তু বিরব্বিকুম্ ফাস্মা‘ঊন্।
- আমিতো তোমাদের রবের উপর ঈমান এনেছি, অতএব তোমরা আমার কথা শোন।
(26)
قِيلَ ادْخُلِ الْجَنَّةَ ۖ قَالَ يَا لَيْتَ قَوْمِي يَعْلَمُونَ
- ক্বীলাদ্ খুলিল্ জ্বান্নাহ্; ক্ব-লা ইয়ালাইতা ক্বওমী ইয়া’লামূন্।
- তাকে বলা হলঃ জান্নাতে প্রবেশ কর। সে বলে উঠলঃ হায়! আমার সম্প্রদায় যদি জানতে পারত –
(27)
بِمَا غَفَرَ لِي رَبِّي وَجَعَلَنِي مِنَ الْمُكْرَمِينَ
- বিমা-গফারলী রব্বী অ জ্বা‘আলানী মিনাল্ মুক্রমীন্।
- কি কারণে আমার রাবব আমাকে ক্ষমা করেছেন এবং সম্মানিত করেছেন।
(28)
وَمَا أَنْزَلْنَا عَلَىٰ قَوْمِهِ مِنْ بَعْدِهِ مِنْ جُنْدٍ مِنَ السَّمَاءِ وَمَا كُنَّا مُنْزِلِينَ
- অমা য় আন্যাল্না ‘আলা- ক্বওমিহী মিম্ বা’দিহী মিন্ জুন্দিম্ মিনাস্ সামা-য়ি অমা- কুন্না-মুন্যিলীন্।
- আমি তার মৃত্যুর পর তার সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আকাশ হতে কোন বাহিনী প্রেরণ করিনি এবং প্রেরণের প্রয়োজনও ছিলনা।
(29)
إِنْ كَانَتْ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً فَإِذَا هُمْ خَامِدُونَ
- ইন্ কা-নাত্ ইল্লা-ছোয়াইহাতাঁও ওয়া-হিদাতান্ ফাইযা-হুম্ খ-মিদূন্।
- ওটা ছিল শুধুমাত্র এক মহানাদ। ফলে তারা নিথর নিস্তব্দ হয়ে গেল।
(30)
يَا حَسْرَةً عَلَى الْعِبَادِ ۚ مَا يَأْتِيهِمْ مِنْ رَسُولٍ إِلَّا كَانُوا بِهِ يَسْتَهْزِئُونَ
- ইয়া-হাস্রতান্ ‘আলাল্ ‘ইবা-দি মা-ইয়াতীহিম্ র্মি রসূলিন্ ইল্লা-কা-নূ বিহী ইয়াস্তাহ্যিয়ূন্।
- পরিতাপ বান্দাদের জন্য! তাদের নিকট যখনই কোন রাসূল এসেছে তখনই তারা তাকে ঠাট্টা বিদ্রুপ করেছে।
(31)
أَلَمْ يَرَوْا كَمْ أَهْلَكْنَا قَبْلَهُمْ مِنَ الْقُرُونِ أَنَّهُمْ إِلَيْهِمْ لَا يَرْجِعُونَ
- আলাম্ ইয়ারও কাম্ আহ্লাক্না-ক্বব্লাহুম্ মিনাল্ কুরূনি আন্নাহুম্ ইলাইহিম্ লা-ইর্য়াজ্বি‘ঊন্।
- তারা কি লক্ষ্য করেনা যে, তাদের পূর্বে কত মানবগোষ্ঠীকে আমি ধ্বংস করেছি যারা তাদের মধ্যে ফিরে আসবেনা?
(32)
وَإِنْ كُلٌّ لَمَّا جَمِيعٌ لَدَيْنَا مُحْضَرُونَ
- অইন্ কুল্লুল্লাম্মা-জ্বামী‘উল্লাদাইনা-মুহ্দ্বোয়ারূন্।
- এবং অবশ্যই তাদের সকলকে একত্রে আমার নিকট উপস্থিত করা হবে।
(33)
وَآيَةٌ لَهُمُ الْأَرْضُ الْمَيْتَةُ أَحْيَيْنَاهَا وَأَخْرَجْنَا مِنْهَا حَبًّا فَمِنْهُ يَأْكُلُونَ
- অ আ-ইয়াতু ল্লাহুমুল্ র্আদুল্ মাইতাতু আহ্ইয়াইনা-হা অ আখ্রজনা-মিন্হা-হাব্বান্ ফামিন্হু ইয়াকুলূন্।
- তাদের জন্য একটি নিদর্শন মৃত ধরিত্রী, যাকে আমি সঞ্জীবিত করি এবং যা হতে উৎপন্ন করি শস্য, যা তারা আহার করে।
(34)
وَجَعَلْنَا فِيهَا جَنَّاتٍ مِنْ نَخِيلٍ وَأَعْنَابٍ وَفَجَّرْنَا فِيهَا مِنَ الْعُيُونِ
- অজ্বা‘আল্না- ফীহা-জ্বান্না-তিম্ মিন্ নাখীলিঁও অআ’না বিঁও অফার্জ্জ্বানা-ফীহা-মিনাল্ ‘উইয়ূন্।
- তাতে আমি সৃষ্টি করি খেজুর ও আঙ্গুরের উদ্যান এবং উৎসারিত করি প্রস্রবণ –
(35)
لِيَأْكُلُوا مِنْ ثَمَرِهِ وَمَا عَمِلَتْهُ أَيْدِيهِمْ ۖ أَفَلَا يَشْكُرُونَ
- লিয়াকুলূ মিন্ ছামারিহী অমা ‘আমিলাত্হু আইদীহিম্; আফালা-ইয়াশ্কুরূন্।
- যাতে তারা আহার করতে পারে এর ফলমূল হতে, অথচ তাদের হাত ওটা সৃষ্টি করেনি। তবুও কি তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবেনা?
(36)
سُبْحَانَ الَّذِي خَلَقَ الْأَزْوَاجَ كُلَّهَا مِمَّا تُنْبِتُ الْأَرْضُ وَمِنْ أَنْفُسِهِمْ وَمِمَّا لَا يَعْلَمُونَ
- সুব্হা-নাল্লাযী খলাক্বল্ আয্ওয়াজ্বা কুল্লাহা-মিম্মা-তুম্বিতুল্ র্আদু অমিন্ আন্ফুসিহিম্ অমিম্মা-লা-ইয়া’লামূন্।
- পবিত্র মহান তিনি, যিনি উদ্ভিদ, মানুষ এবং তারা যাদেরকে জানেনা তাদের প্রত্যেককে সৃষ্টি করেছেন জোড়ায় জোড়ায়।
(37)
وَآيَةٌ لَهُمُ اللَّيْلُ نَسْلَخُ مِنْهُ النَّهَارَ فَإِذَا هُمْ مُظْلِمُونَ
- অআ-ইয়াতুল্লা হুমুল্ লাইলু নাস্লাখু মিন্ হুন্নাহা-র ফাইযা-হুম্ মুজ্লিমূন্
- তাদের এক নিদর্শন রাত, ওটা হতে আমি দিবালোক অপসারিত করি, তখন সকলেই অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
(38)
وَالشَّمْسُ تَجْرِي لِمُسْتَقَرٍّ لَهَا ۚ ذَٰلِكَ تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ
- অশ্শাম্সু তাজ্ব্রী লিমুস্তার্ক্বরিল্লাহা-; যা-লিকা তাকদীরুল্ ‘আযীযিল্ ‘আলীম্।
- এবং সূর্য ভ্রমণ করে ওর নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞের নিয়ন্ত্রণ।
(39)
وَالْقَمَرَ قَدَّرْنَاهُ مَنَازِلَ حَتَّىٰ عَادَ كَالْعُرْجُونِ الْقَدِيمِ
- অল্ ক্বমার ক্বর্দ্দানা-হু মানা-যিলা হাত্তা- ‘আ-দা কাল্ ‘র্উজুনিল্ ক্বদীম্।
- এবং চন্দ্রের জন্য আমি নির্দিষ্ট করেছি বিভিন্ন মানযিল, অবশেষে ওটা শুস্ক বক্র পুরাতন খেজুর শাখার আকার ধারণ করে।
(40)
لَا الشَّمْسُ يَنْبَغِي لَهَا أَنْ تُدْرِكَ الْقَمَرَ وَلَا اللَّيْلُ سَابِقُ النَّهَارِ ۚ وَكُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ
- লাশ্ শাম্সু ইয়াম্বাগী লাহা য় আন্ তুদ্রিকাল্ ক্বমার অলাল্লাইলু সা-বিকুন্ নাহার্-; অ কুল্লুন্ ফী ফালাকিইঁ ইয়াস্বাহূন্।
- সূর্যের পক্ষে সম্ভব নয় চাঁদের নাগাল পাওয়া এরং রাতের পক্ষে সম্ভব নয় দিনকে অতিক্রম করা; এবং প্রত্যেকে নিজ নিজ কক্ষপথে সাতার কাটে।
(41)
وَآيَةٌ لَهُمْ أَنَّا حَمَلْنَا ذُرِّيَّتَهُمْ فِي الْفُلْكِ الْمَشْحُونِ
- অ আ-ইয়াতুল্লাহুম্ আন্না-হামাল্না র্যুরিয়্যাতাহুম্ ফিল্ ফুল্কিল্ মাশ্হূন্।
- তাদের জন্যে একটি নিদর্শন এই যে, আমি তাদের সন্তান-সন্ততিকে বোঝাই নৌকায় আরোহণ করিয়েছি।
(42)
وَخَلَقْنَا لَهُمْ مِنْ مِثْلِهِ مَا يَرْكَبُونَ
- অখলাক্ব্না-লাহুম্ মিম্ মিছ্লিহী মা-ইর্য়াকাবূন্।
- এবং তাদের জন্যে নৌকার অনুরূপ যানবাহন সৃষ্টি করেছি, যাতে তারা আরোহণ করে।
(43)
وَإِنْ نَشَأْ نُغْرِقْهُمْ فَلَا صَرِيخَ لَهُمْ وَلَا هُمْ يُنْقَذُونَ
- অইন্ নাশানুগ্রিক হুম্ ফালা-ছোয়ারীখ লাহুম্ অলা-হুম্ ইয়ুন্ক্বযূন্।
- আমি ইচ্ছা করলে তাদেরকে নিমজ্জত করতে পারি, তখন তাদের জন্যে কোন সাহায্যকারী নেই এবং তারা পরিত্রাণও পাবে না।
(44)
إِلَّا رَحْمَةً مِنَّا وَمَتَاعًا إِلَىٰ حِينٍ
- ইল্লা-রহ্মাতাম্ মিন্না- অমাতা-‘আন্ ইলা-হীন্।
- কিন্তু আমারই পক্ষ থেকে কৃপা এবং তাদেরকে কিছু কাল জীবনোপভোগ করার সুযোগ দেয়ার কারণে তা করি না।
(45)
وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ اتَّقُوا مَا بَيْنَ أَيْدِيكُمْ وَمَا خَلْفَكُمْ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ
- অইযা-ক্বীলা লাহুমুত্তাকু মা-বাইনা আইদীকুম্ অমা-খল্ফাকুম্ লা‘আল্লাকুম্ র্তুহামূন্।
- আর যখন তাদেরকে বলা হয়, তোমরা সামনের আযাব ও পেছনের আযাবকে ভয় কর, যাতে তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করা হয়, তখন তারা তা অগ্রাহ্য করে।
(46)
وَمَا تَأْتِيهِمْ مِنْ آيَةٍ مِنْ آيَاتِ رَبِّهِمْ إِلَّا كَانُوا عَنْهَا مُعْرِضِينَ
- অমা-তাতীহিম্ মিন্ আ-ইয়া-তীম্ মিন্ আ-ইয়া-তি রব্বিহিম্ ইল্লা-কা-নূ ‘আন্হা-মু’রিদ্বীন্।
- যখনই তাদের পালনকর্তার নির্দেশাবলীর মধ্যে থেকে কোন নির্দেশ তাদের কাছে আসে, তখনই তারা তা থেকে মুখে ফিরিয়ে নেয়।
(47)
وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ أَنْفِقُوا مِمَّا رَزَقَكُمُ اللَّهُ قَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا لِلَّذِينَ آمَنُوا أَنُطْعِمُ مَنْ لَوْ يَشَاءُ اللَّهُ أَطْعَمَهُ إِنْ أَنْتُمْ إِلَّا فِي ضَلَالٍ مُبِينٍ
- অ ইযা- ক্বীলা লাহুম্ আনফিকু মিম্মা-রযাক্ব কুমুল্লা-হু ক্ব-লাল্লাযীনা কাফারূ লিল্লাযীনা আ-মানূ য় আনুত্ব‘ইমু মাল্লাও ইয়াশা-য়ুল্লা-হু আত্ব্‘আমাহূ য় ইন্ আন্তুম্ ইল্লা-ফী দ্বোয়ালা-লিম্ মুবীন্।
- যখন তাদেরকে বলা হয়, আল্লাহ তোমাদেরকে যা দিয়েছেন, তা থেকে ব্যয় কর। তখন কাফেররা মুমিনগণকে বলে, ইচ্ছা করলেই আল্লাহ যাকে খাওয়াতে পারতেন, আমরা তাকে কেন খাওয়াব? তোমরা তো স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে পতিত রয়েছ।
(48)
وَيَقُولُونَ مَتَىٰ هَٰذَا الْوَعْدُ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ
- অ ইয়াকুলূনা মাতা-হা-যাল্ ওয়া’দু ইন্ কুন্তুম্ ছোয়া-দিক্বীন্
- তারা বলে, তোমরা সত্যবাদী হলে বল এই ওয়াদা কবে পূর্ণ হবে?
(49)
مَا يَنْظُرُونَ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً تَأْخُذُهُمْ وَهُمْ يَخِصِّمُونَ
- মা-ইয়ান্জুরূনা ইল্লা-ছোয়াইঁহাতাওঁ ওয়া-হিদাতান্ তাখুযুহুম্ অহুম্ ইয়াখিছ্ছিমূন্।
- তারা কেবল একটা ভয়াবহ শব্দের অপেক্ষা করছে, যা তাদেরকে আঘাত করবে তাদের পারস্পরিক বাকবিতন্ডাকালে।
(50)
فَلَا يَسْتَطِيعُونَ تَوْصِيَةً وَلَا إِلَىٰ أَهْلِهِمْ يَرْجِعُونَ
- ফালা-ইয়াস্তাত্বী‘ঊনা তাওছিয়াতাঁও অলা য় ইলা য় আহ্লিহিম্ ইর্য়াজ্বি‘ঊন্।
- তখন তারা ওছিয়ত করতেও সক্ষম হবে না। এবং তাদের পরিবার-পরিজনের কাছেও ফিরে যেতে পারবে না।
(51)
وَنُفِخَ فِي الصُّورِ فَإِذَا هُمْ مِنَ الْأَجْدَاثِ إِلَىٰ رَبِّهِمْ يَنْسِلُونَ
- অনুফিখ ফিছ্ ছূরি ফাইযা-হুম্ মিনাল্ আজদা-ছি ইলা-রব্বিহিম্ ইয়ান্সিলূন্।
- শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, তখনই তারা কবর থেকে তাদের পালনকর্তার দিকে ছুটে চলবে।
(52)
قَالُوا يَا وَيْلَنَا مَنْ بَعَثَنَا مِنْ مَرْقَدِنَا ۜ ۗ هَٰذَا مَا وَعَدَ الرَّحْمَٰنُ وَصَدَقَ الْمُرْسَلُونَ
- ক্ব-লূ ইয়া-অইলানা-মাম্ বা‘আছানা-মিম্ র্মাক্বদিনা-,হা-যা-মা-অ‘আর্দা রহ্মা-নু অ ছদাক্বাল্ র্মুসালূন্।
- তারা বলবে, হায় আমাদের দুর্ভোগ! কে আমাদেরকে নিদ্রাস্থল থেকে উখিত করল? রহমান আল্লাহ তো এরই ওয়াদা দিয়েছিলেন এবং রসূলগণ সত্য বলেছিলেন।
(53)
إِنْ كَانَتْ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً فَإِذَا هُمْ جَمِيعٌ لَدَيْنَا مُحْضَرُونَ
- ইন্ কা- নাত্ ইল্লা- ছোয়াইহাতাঁও ওয়া-দাহিদাতান্ ফাইযা-হুম্ জ্বামী‘উল্ লাদাইনা-মুহ্দ্বোয়ারূন্।
- এটা তো হবে কেবল এক মহানাদ। সে মুহুর্তেই তাদের সবাইকে আমার সামনে উপস্থিত করা হবে।
(54)
فَالْيَوْمَ لَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْئًا وَلَا تُجْزَوْنَ إِلَّا مَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ
- ফাল্ ইয়াওমা লা-তুজ্লামু নাফ্সুন্ শাইয়াঁও অলা-তুজযাওনা ইল্লা-মা-কুন্তুম্ তা’মালূন্।
- আজকের দিনে কারও প্রতি জুলুম করা হবে না এবং তোমরা যা করবে কেবল তারই প্রতিদান পাবে।
(55)
إِنَّ أَصْحَابَ الْجَنَّةِ الْيَوْمَ فِي شُغُلٍ فَاكِهُونَ
- ইন্না আছ্হা-বাল্ জ্বান্নাতিল্ ইয়াওমা ফী শুগুলিন্ ফাকিহূন্।
- এদিন জান্নাতীরা আনন্দে মশগুল থাকবে।
(56)
هُمْ وَأَزْوَاجُهُمْ فِي ظِلَالٍ عَلَى الْأَرَائِكِ مُتَّكِئُونَ
- হুম্ অআয্ওয়া-জুহুম্ ফী জিলা-লিন্ ‘আলাল্ আর-য়িকি মুত্তাকিয়ূন্।
- তারা এবং তাদের স্ত্রীরা উপবিষ্ট থাকবে ছায়াময় পরিবেশে আসনে হেলান দিয়ে।
(57)
لَهُمْ فِيهَا فَاكِهَةٌ وَلَهُمْ مَا يَدَّعُونَ
- লাহুম্ ফীহা-ফা-কিহাতুঁও অলাহুম্ মা- ইয়াদ্দা‘ঊন্।
- সেখানে তাদের জন্যে থাকবে ফল-মূল এবং যা চাইবে।
(58)
سَلَامٌ قَوْلًا مِنْ رَبٍّ رَحِيمٍ
- সালা-মুন্ ক্বওলাম্ র্মি রর্ব্বি রহীম্।
- করুণাময় পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাদেরকে বলা হবে সালাম।
(59)
وَامْتَازُوا الْيَوْمَ أَيُّهَا الْمُجْرِمُونَ
- ওয়াম্তা-যুল্ ইয়াওমা আইয়ুহাল্ মুজরিমূন্।
- হে অপরাধীরা! আজ তোমরা আলাদা হয়ে যাও।
(60)
أَلَمْ أَعْهَدْ إِلَيْكُمْ يَا بَنِي آدَمَ أَنْ لَا تَعْبُدُوا الشَّيْطَانَ ۖ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ
- আলাম্ আ’হাদ্ ইলাইকুম্ ইয়া-বানী য় আ-দামা আল্লা-তা’বুদুশ্ শাইত্বোয়া-না ইন্নাহূ লাকুম্ ‘আদুওয়্যুম্ মুবীন্।
- হে বনী-আদম! আমি কি তোমাদেরকে বলে রাখিনি যে, শয়তানের এবাদত করো না, সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু?
(61)
وَأَنِ اعْبُدُونِي ۚ هَٰذَا صِرَاطٌ مُسْتَقِيمٌ
- অআ নি’বুদূনী হা-যা-ছির- তুম্ মুস্তাক্বীম্।
- এবং আমার এবাদত কর। এটাই সরল পথ।
(62)
وَلَقَدْ أَضَلَّ مِنْكُمْ جِبِلًّا كَثِيرًا ۖ أَفَلَمْ تَكُونُوا تَعْقِلُونَ
- অলাক্বদ্ আদ্বোয়াল্লা মিন্কুম্ জ্বিবিল্লান্ কাছীর-; আফালাম্ তাকূনূ তা’ক্বিলূন্।
- শয়তান তোমাদের অনেক দলকে পথভ্রষ্ট করেছে। তবুও কি তোমরা বুঝনি?
(63)
هَٰذِهِ جَهَنَّمُ الَّتِي كُنْتُمْ تُوعَدُونَ
- হা-যিহী জ্বাহান্নামুল্লাতী কুন্তুম্ তূ‘আদূন্।
- এই সে জাহান্নাম, যার ওয়াদা তোমাদেরকে দেয়া হতো।
(64)
اصْلَوْهَا الْيَوْمَ بِمَا كُنْتُمْ تَكْفُرُونَ
- ইছ্লাওহাল্ ইয়াওমা বিমা-কুন্তুম্ তাক্ফুরূন্।
- তোমাদের কুফরের কারণে আজ এতে প্রবেশ কর।
(65)
الْيَوْمَ نَخْتِمُ عَلَىٰ أَفْوَاهِهِمْ وَتُكَلِّمُنَا أَيْدِيهِمْ وَتَشْهَدُ أَرْجُلُهُمْ بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ
- আল্ইয়াওমা নাখ্তিমু ‘আলা য় আফ্ওয়া-হিহিম্ অ তুকাল্লিমুনা য় আইদীহিম্ অতাশ্হাদু র্আজুলুহুম্ বিমা-কা-নূ ইয়াক্সিবূন্।
- আজ আমি তাদের মুখে মোহর এঁটে দেব তাদের হাত আমার সাথে কথা বলবে এবং তাদের পা তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দেবে।
(66)
وَلَوْ نَشَاءُ لَطَمَسْنَا عَلَىٰ أَعْيُنِهِمْ فَاسْتَبَقُوا الصِّرَاطَ فَأَنَّىٰ يُبْصِرُونَ
- অলাও নাশা-য়ু লাত্বোয়ামাস্না-‘আলা য় আ’ ইয়ুনিহিম্ ফাস্তাবাক্বছ্ ছির-ত্বোয়া ফাআন্না-ইয়ুব্ছিরূন্।
- আমি ইচ্ছা করলে তাদের দৃষ্টি শক্তি বিলুপ্ত করে দিতে পারতাম, তখন তারা পথের দিকে দৌড়াতে চাইলে কেমন করে দেখতে পেত!
(67)
وَلَوْ نَشَاءُ لَمَسَخْنَاهُمْ عَلَىٰ مَكَانَتِهِمْ فَمَا اسْتَطَاعُوا مُضِيًّا وَلَا يَرْجِعُونَ
- অলাও নাশা-য়ু লামাসাখ্না-হুম্ ‘আলা-মাকা-নাতিহিম্ ফামাস্ তাত্বোয়া-‘ঊ মুদ্বিয়্যাওঁ অলা- ইর্য়াজ্বি‘ঊন্।
- আমি ইচ্ছা করলে তাদেরকে স্ব স্ব স্থানে আকার বিকৃত করতে পারতাম, ফলে তারা আগেও চলতে পারত না এবং পেছনেও ফিরে যেতে পারত না।
(68)
وَمَنْ نُعَمِّرْهُ نُنَكِّسْهُ فِي الْخَلْقِ ۖ أَفَلَا يَعْقِلُونَ
- অ মান্ নু‘আ র্ম্মিহু নুনাক্কিস্হু ফিল্ খল্ক্ব ; আফালা-ইয়া’ক্বিলূন্।
- আমি যাকে দীর্ঘ জীবন দান করি, তাকে সৃষ্টিগত পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেই। তবুও কি তারা বুঝে না?
(69)
وَمَا عَلَّمْنَاهُ الشِّعْرَ وَمَا يَنْبَغِي لَهُ ۚ إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ وَقُرْآنٌ مُبِينٌ
- অমা-‘আল্লাম্না-হুশ্ শি’রা অমা-ইয়াম্বাগী লাহ্; ইন্ হুওয়া ইল্লা-যিক্রুঁও অক্বর্ আ-নুম্ মুবীন্।
- আমি রসূলকে কবিতা শিক্ষা দেইনি এবং তা তার জন্যে শোভনীয়ও নয়। এটা তো এক উপদেশ ও প্রকাশ্য কোরআন।
(70)
لِيُنْذِرَ مَنْ كَانَ حَيًّا وَيَحِقَّ الْقَوْلُ عَلَى الْكَافِرِينَ
- লিইয়ুন্যির মান্ কা-না হাইয়্যাঁও অ ইয়াহিকক্বল্ ক্বওলু ‘আলাল্ কা-ফিরীন্।
- যাতে তিনি সতর্ক করেন জীবিতকে এবং যাতে কাফেরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
(71)
أَوَلَمْ يَرَوْا أَنَّا خَلَقْنَا لَهُمْ مِمَّا عَمِلَتْ أَيْدِينَا أَنْعَامًا فَهُمْ لَهَا مَالِكُونَ
- আওয়া লাম্ ইয়ারাও আন্না-খলাক্না-লাহুম্ মিম্মা-‘আমিলাত্ আইদীনা য় আন্‘আ-মান্ ফাহুম্ লাহা-মা-লিকূন্।
- তারা কি দেখে না, তাদের জন্যে আমি আমার নিজ হাতের তৈরী বস্তুর দ্বারা চতুস্পদ জন্তু সৃষ্টি করেছি, অতঃপর তারাই এগুলোর মালিক।
(72)
وَذَلَّلْنَاهَا لَهُمْ فَمِنْهَا رَكُوبُهُمْ وَمِنْهَا يَأْكُلُونَ
- অ যাল্লাল্না-হা লাহুম্ ফামিন্হা- রকূবুহুম্ অ মিন্হা-ইয়াকুলূন্।
- আমি এগুলোকে তাদের হাতে অসহায় করে দিয়েছি। ফলে এদের কতক তাদের বাহন এবং কতক তারা ভক্ষণ করে।
(73)
وَلَهُمْ فِيهَا مَنَافِعُ وَمَشَارِبُ ۖ أَفَلَا يَشْكُرُونَ
- অলাহুম্ ফীহা-মানা-ফি‘ঊ অমাশা-রিব্; আফালা- ইয়াশ্কুরূন্।
- তাদের জন্যে চতুস্পদ জন্তুর মধ্যে অনেক উপকারিতা ও পানীয় রয়েছে। তবুও কেন তারা শুকরিয়া আদায় করে না?
(74)
وَاتَّخَذُوا مِنْ دُونِ اللَّهِ آلِهَةً لَعَلَّهُمْ يُنْصَرُونَ
- অত্তাখযূ মিন্ দূনিল্লা-হি আ-লিহাতাল্ লা‘আল্লাহুম্ ইয়ুন্ছোয়ারূন্।
- তারা আল্লাহর পরিবর্তে অনেক উপাস্য গ্রহণ করেছে যাতে তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হতে পারে।
(75)
لَا يَسْتَطِيعُونَ نَصْرَهُمْ وَهُمْ لَهُمْ جُنْدٌ مُحْضَرُونَ
- লা-ইয়াস্তাত্বী‘ঊনা নাছ্রহুম্ অহুম্ লাহুম্ জ্বুন্দুম্ মুহ্দ্বোয়ারূন্।
- অথচ এসব উপাস্য তাদেরকে সাহায্য করতে সক্ষম হবে না এবং এগুলো তাদের বাহিনী রূপে ধৃত হয়ে আসবে।
(76)
فَلَا يَحْزُنْكَ قَوْلُهُمْ ۘ إِنَّا نَعْلَمُ مَا يُسِرُّونَ وَمَا يُعْلِنُونَ
- ফালা- ইয়াহ্যুন্কা ক্বওলুহুম্; ইন্না-না’লামু মা-ইয়ুর্সিরূনা অমা-ইয়ু’লিনূন্।
- অতএব তাদের কথা যেন আপনাকে দুঃখিত না করে। আমি জানি যা তারা গোপনে করে এবং যা তারা প্রকাশ্যে করে।
(77)
أَوَلَمْ يَرَ الْإِنْسَانُ أَنَّا خَلَقْنَاهُ مِنْ نُطْفَةٍ فَإِذَا هُوَ خَصِيمٌ مُبِينٌ
- আওয়ালাম্ ইয়ারল্ ইন্সা-নু আন্না-খলাক্ব্ না-হু মিন্ নুত্ব্ ফাত্ব্ন্ ফাইযা-হুঅ খছীমুম্ মুবীন্।
- মানুষ কি দেখে না যে, আমি তাকে সৃষ্টি করেছি বীর্য থেকে? অতঃপর তখনই সে হয়ে গেল প্রকাশ্য বাকবিতন্ডাকারী।
(78)
وَضَرَبَ لَنَا مَثَلًا وَنَسِيَ خَلْقَهُ ۖ قَالَ مَنْ يُحْيِي الْعِظَامَ وَهِيَ رَمِيمٌ
- অ দ্বোয়ারাবা লানা-মাছালাঁও অ নাসিয়া খল্ক্বাহ্; ক্ব-লা মাইঁ ইয়ুহ্য়িল্ ‘ইজোয়া-মা অহিয়া রমীম্।
- সে আমার সম্পর্কে এক অদ্ভূত কথা বর্ণনা করে, অথচ সে নিজের সৃষ্টি ভুলে যায়। সে বলে কে জীবিত করবে অস্থিসমূহকে যখন সেগুলো পচে গলে যাবে?
(79)
قُلْ يُحْيِيهَا الَّذِي أَنْشَأَهَا أَوَّلَ مَرَّةٍ ۖ وَهُوَ بِكُلِّ خَلْقٍ عَلِيمٌ
- কুল্ ইয়ুহ্য়ীহাল্লাযী য় আন্শায়াহা য় আও অলা র্মারাহ্; অহুওয়া বিকুল্লি খল্ক্বিন্ ‘আলীমুনি।
- বলুন, যিনি প্রথমবার সেগুলোকে সৃষ্টি করেছেন, তিনিই জীবিত করবেন। তিনি সর্বপ্রকার সৃষ্টি সম্পর্কে সম্যক অবগত।
(80)
الَّذِي جَعَلَ لَكُمْ مِنَ الشَّجَرِ الْأَخْضَرِ نَارًا فَإِذَا أَنْتُمْ مِنْهُ تُوقِدُونَ
- ল্লাযী জ্বা‘আলা লাকুম্ মিনাশ্ শাজ্বারিল্ আখ্দ্বোয়ারি না-রন্ ফাইযা য় আন্তুম্ মিন্হু তূক্বিদূ ন্।
- যিনি তোমাদের জন্যে সবুজ বৃক্ষ থেকে আগুন উৎপন্ন করেন। তখন তোমরা তা থেকে আগুন জ্বালাও।
(81)
أَوَلَيْسَ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِقَادِرٍ عَلَىٰ أَنْ يَخْلُقَ مِثْلَهُمْ ۚ بَلَىٰ وَهُوَ الْخَلَّاقُ الْعَلِيمُ
- আওয়া লাইসাল্লাযী খলাক্বস্ সামা-ওয়া-তি অল্ র্আদ্বোয়া বিক্ব-দিরিন্ ‘আলা য় আইঁ ইয়াখ্লুক্ব মিছ্লাহুম্; বালা-অহুওয়াল্ খল্লাকুল্ ‘আলীম্।
- যিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছেন, তিনিই কি তাদের অনুরূপ সৃষ্টি করতে সক্ষম নন? হ্যাঁ তিনি মহাস্রষ্টা, সর্বজ্ঞ।
(82)
إِنَّمَا أَمْرُهُ إِذَا أَرَادَ شَيْئًا أَنْ يَقُولَ لَهُ كُنْ فَيَكُونُ
- ইন্নামা য় আম্রুহূ য় ইযা য় আর-দা শাইয়ান্ আইঁ ইয়াকুলা লাহূ কুন্ ফাইয়াকূন্
- তিনি যখন কোন কিছু করতে ইচ্ছা করেন, তখন তাকে কেবল বলে দেন, ‘হও’ তখনই তা হয়ে যায়।
(83)
فَسُبْحَانَ الَّذِي بِيَدِهِ مَلَكُوتُ كُلِّ شَيْءٍ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
- ফাসুব্হা-নাল্ লাযী বিয়াদিহী মালাকূতু কুল্লি শাইয়িঁও অ ইলাইহি র্তুজ্বাঊ’ন্
- অতএব পবিত্র তিনি, যাঁর হাতে সবকিছুর রাজত্ব এবং তাঁরই দিকে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।
সূরা ইয়াসিন এর ফযিলত/ইয়াসিন সূরার উপকারিতা/সূরা ইয়াসিন আরবি এর ফযিলত
সূরা ইয়াসিন সম্পূর্ণ আরবি সহ বাংলা উচ্চারণ ও ফজিলত,সূরা ইয়াসিনের অসীম ফজিলত, গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। যা শুরু করা যাবে কিন্তু শেষ হবে না।এই সুরার মহাত্ম্য সম্পর্কে আমাদের প্রান প্রিয় রাসুল (সঃ) অসংখ্য হাদিসে বলেছেন। নিচে কিছু ফযিলত দেয়া হলঃহযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেন:
“সব কিছুর মধ্যেই একটি হৃদয় আছে; কুরআনের হৃদয় হল সূরা ইয়াসিন।”
[তাফসীর-আল-সাবুনী খণ্ড ২]
সূরা ইয়াসিন সম্পূর্ণ কুরআনের হৃদয় এবং প্রতিটি মুমিন মুসলমানের জন্য এটি নিয়মিত পড়া এবং বোঝা অপরিহার্য।
পবিত্র কুরআনের একটি শব্দ পড়লে মহান আল্লাহর ১০টি নিয়ামত পাওয়া যাবে। সূরা ইয়াসিন সম্পূর্ণ আরবি সহ বাংলা উচ্চারণ ও ফজিলত,সূরা ইয়াসিন পড়ার সময় একজন ব্যক্তি ১০ বার কুরআন পড়ার সওয়াব পাবেন। যেমন আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেন:
“যে ব্যক্তি সূরা ইয়াসিন সম্পূর্ণ পাঠ করে, আল্লাহ তাকে পুরো কুরআন পড়ার সমান সওয়াব দান করেন।”
(তিরমিযী ২৮১২)
আরও পড়ুনঃ সূরা আর রহমান এর উচ্চারণ ও বাংলা অর্থ
হজরত আবু যর (রা:) বলেন, রাসূল সা:- বলেছেন,
মৃত্যু পথযাত্রী ব্যক্তির কাছে সূরা ইয়াসিন পাঠ করলে তার মৃত্যু যন্ত্রণা সহজ হয়ে যায়। (মাজহারি)
“যারা মৃত্যুবরণ করছে তাদের উপর ইয়াসিন পাঠ কর।” -সানান আবি দাউদ
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেনঃ
“যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য রাতে সূরা ইয়াসিন পাঠ করবে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন।”
(ইবনে হিব্বান, দারিমি ৩২৮৩-এ)
হজরত আতা বিন আবি রাবাহ (রা.) বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন,
‘যে ব্যক্তি দিনের বেলায় সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করবে, তার সব হাজত পূর্ণ করা হবে।’ (সুনানে দারেমি : ৩৪৬১)।
হযরত মা’কিল ইবনে ইয়াসার ( রাঃ ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
“সূরা ইয়াসিন তোমাদের মুমূর্ষু ব্যক্তিদের নিকট পাঠ করো। “-( আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাযাহ, মুসনাদে আহমাদ)
ইমাম আহমাদ ( রঃ ) বলেছেন- আমাদের প্রবীণরা বলতেন,
“মুমূর্ষু ব্যক্তির নিকট সূরা ইয়াসীন পাঠ করা হলে আল্লাহ তাঁর কষ্ট লাঘব করে দেন।” ( তাফসীরে ইবনে কাসীর, ৩য় খণ্ড, পৃষ্ঠা- ১৫৪ )
সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত-বরকত আসে। সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করলে মনের হাজত বা মনের আশা পূর্ণ হয়।
ইয়াহইয়া ইবনে কাসীর বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে সূরা ইয়াসিন পাঠ করবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুখে-স্বস্তিতে থাকবে। যে সন্ধ্যায় পাঠ করবে সে সকাল পর্যন্ত শান্তিতে থাকবে (মাজহারি)।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের রা: বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি অভাব-অনটনের সময় সূরা ইয়াসিন পাঠ করে, তাহলে তার অভাব দূর হয়, সংসারে শান্তি ও রিজিকে বরকত লাভ হয়। (মাজহারি)
সূরা ইয়াসিন সম্পূর্ণ আরবি সহ বাংলা উচ্চারণ ও ফজিলত,মানুষের মনে নানা ধরনের ভয় থাকে। প্রতিদিন এই সূরা পাঠ করলে আপনার সমস্ত ভয় দূর হয়।
সূরা ইয়াসিন আরবি/সূরা ইয়াসিন সম্পূর্ণ মুখস্ত করতে কতক্ষণ লাগে?
আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তায়ালা) বলেন:
“এবং আমি কুরআনকে বোঝার জন্য এবং স্মরণ রাখার জন্য সহজ করে দিয়েছি, তাহলে উপদেশ গ্রহণকারী কেউ আছে কি?” (৫৪:১৭)
সূরা ইয়াসিন ৫৮ নং আয়াত ফজিলত
سَلَامٌ قَوْلًا مِنْ رَبٍّ رَحِيمٍ
সালা-মুন্ ক্বওলাম্ র্মি রর্ব্বি রহীম্।
“অসীম দয়ালু রবের পক্ষ থেকে বলা হবে, ‘সালাম’।ʼʼ
সূরা ইয়াসিনের এমন একটি আয়াত আছে যেটা জিকির করলে জীবনের সকল সমস্যা দূর হয়ে যায়। (আয়াত নং:৫৮)
“সালামুন কাওলাম মীর রাব্বীর রাহীম”
সূরা ইয়াসিন মহান আল্লাহর চূড়ান্ত ও সর্বোচ্চ ক্ষমতা বর্ণনা করে। সূরা ইয়াসিন সম্পূর্ণ আরবি সহ বাংলা উচ্চারণ ও ফজিলত,প্রতিদিন সূরা ইয়াসিন তিলাওয়াত করুন, এটি আপনার উপর মহান আল্লাহর নিয়ামত দান করবে। সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করলে, আপনার সব হাজত পূর্ণ করা হবে। এটি আপনার বিশ্বাসকেও মজবুত করে এবং আল্লাহর সাথে আপনার সম্পর্ককে দৃঢ় করে।