ক্রেডিট কার্ড কি ভাবে পাবো|Credit Card in BD

ক্রেডিট কার্ড কি ভাবে পাবো? | Credit Card in Bangladesh

পৃথিবীতে মানুষ স্বপ্ন দেখতে পছন্দ করে। সাথে সাথে তার স্বপ্ন পূরনের জন্য সঞ্চয় অভ্যাস করতে হয়। পূর্বে মানুষ তার নিজের স্বপ্ন পূরনের জন্য, ভবিষ্যতে জন্য বা শখ পূরনের জন্য টাকা সঞ্চয় বা জমা করত। এ টাকা নিজের কাছে রাখত৷ কিন্তু টাকা কি নিজের কাছে রাখা যায়? প্রয়োজন হলে খরচ হয়ে যেত তখন আর টাকা জমানো হত না। কিন্তু এখন সময় পাল্টেছে সাথে সাথে মানুষের স্বপ্ন, অভ্যাস সবকিছুই পাল্টেছে। এখন সঞ্চয় জন্য মানুষ নিজের কাছে টাকা রাখে না, টাকা এখন রাখা হয় ব্যাংকে।ব্যাংকে হিসাব খোলা বা টাকা জমানো এখন খুবই সাধারণ ব্যাপার।

গ্রাহকদের চাহিদা বিবেচনায় ব্যাংকিং ব্যবস্থায় অনেক আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। এখন ব্যাংকগুলো নিত্য নতুন সুবিধা নিয়ে আসছে। এতে ব্যাংক খাতে একটা প্রতিযোগিতা দেখা যাচ্ছে। ব্যাংকিং ব্যবস্থায় নতুন একটি সুবিধা হচ্ছে ক্রেডিট কার্ড। আমরা বর্তমানে অনেক কার্ডের নাম শুনেছি। এর মধ্যে ক্রেডিট কার্ড,(Credit Card) ডেবিট কার্ড,ভার্চুয়াল কার্ড,ডুয়েল কার্ড অন্যতম। আজ আমরা এই আর্টিকেলে শুধুমাএ ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করার চেষ্টা করব।আশা করি সবাই ক্রেডিট কার্ড বা ক্রেডিট কার্ড কি ভাবে পাবো সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং অনেক প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

ক্রেডিট কার্ড কি?(Credit Card)

ক্রেডিট কার্ড বলতে কি বুঝায়? মূলত ক্রেডিট কার্ড হলো একটি চিপ-ভিত্তিক প্লাস্টিকের কার্ড,যাতে থাকে ক্রেডিট কার্ডধারীর নাম, ক্রেডিট কার্ড নাম্বার, মেয়াদ শেষ এর তারিখ, সিভিভি, ক্রেডিট কার্ডধারীর স্বাক্ষর এবং কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের বিবরণ, ইত্যাদি।

ব্যাংক সমূহে তাদের গ্রাহকদের একাউন্টের বিনিময়ে যে কার্ড সুবিধা প্রদান করে তাকে ক্রেডিট কার্ড বলা হয়।ক্রেডিট কার্ড মূলত কার্ডধারীর অর্থ ব্যয়ের সুবিধা নিশ্চিত করে। সকল ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের জন্য এই ক্রেডিট কার্ড সুবিধা প্রদান করে থাকে। এই কার্ড আপনি টাকার পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারবেন। 

সাধারণত ক্রেডিট কার্ড এর কাজই হচ্ছে ব্যবহারকারীদের বাকিতে লেনদেনের সুবিধা প্রদান করা। ক্রেডিট কার্ড এর ক্ষেত্রে আগে থেকেই ঠিক করে দেওয়া ক্রেডিট লিমিট থাকে। 

ক্রেডিট কার্ড (Credit Card)কেমন দেখতে?

ক্রেডিট কার্ড হয় আয়তাকার। এর আকৃতি হয় মাঝারি ধরনের। এটি আইএসও / আইসিসি ৭৮১০ আইডি ১ এর আদর্শ মেনে চলে। ক্রেডিট কার্ডটির সামনে ও পেছনে উভয় দিকে কিছু তথ্য দেয়া থাকে।

 সামনের যা থাকে:

হলোগ্রাম 

ইস্যু করা ব্যাংকের লোগো

এএমভি চিপ

এক্সপায়ারি ডেইট

কার্ডধারীর নাম

ক্রেডিট কার্ডের নম্বর

 পেছনের যা থাকে:

স্বাক্ষর 

তড়িৎ চৌম্বকীয় ফিতা

কার্ডের নিরাপত্তা কোড

ক্রেডিট কার্ড(Credit Card) কিভাবে পাবো? | ক্রেডিট কার্ড(Credit Card)পাওয়ার যোগ্যতা 

ক্রেডিট হিস্ট্রি, আপনার আয়ের উৎস, সামাজিক নিরাপত্তা নম্বরের ভিত্তিতে আর বয়স ১৮-২১ বছরের উপরে হলে; তবেই আপনি ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

ব্যাংক মূলত আপনার ক্রেডিট ইতিহাস ও ঋণ পরিশোধের ক্ষমতার উপর নির্ভর করে ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য আপনার যোগ্যতাবিবেচনা করে। 

ক্রেডিট কার্ড প্রদানের আগে ব্যাঙ্ক সাধারণত নিম্নলিখিত তথ্যগুলো যাচাই করে থাকে –

ন্যূনতম বয়স ১৮/২১ বছর হতে হবে

বৈধ নাগরিকতা 

আবেদনকারীর বৈধ আবাসিক প্রমাণপত্র 

কমপক্ষে ছয় মাসের নিয়মিত ক্রেডিট হিস্ট্রি 

সর্বনিম্ন প্রায় ২০,০০০ (ব্যাঙ্ক এবং জায়গা বিশেষে আলাদা আলাদা হতে পারে) টাকা মাসিক আয় 

আপনার বর্তমান আয় ও ক্রেডিট ব্যবহারের ধরণ 

ক্রেডিট স্কোর কমপক্ষে ৭০০-৭৫০ 

ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য কি ধরণের যোগ্যতার প্রয়োজন তা নিচে তুলে ধরা হলো –

ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে 

জাতীয় পরিচয়পত্র/ড্রাইভিং লাইসেন্স। 

দুই কপি ছবি।

ট্রেড লাইসেন্স লাগবে। 

আপনার ব্যংক একাউন্টের ট্রান্সজেকশনের মেয়াদ ১ বছর।

বছরে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার লেনদেন। 

রেফারেন্স লাগবে।

চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে 

জাতীয় পরিচয়পত্র/ড্রাইভিং লাইসেন্স।

দুই কপি ছবি। 

৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখতে হবে। -স্যালারির পরিমান মাসিক ৩০ হাজার টাকার বেশি হতে হবে। 

চাকরির মেয়াদ ৬ মাসের অধিক থাকতে হবে। 

টিন সার্টিফিকেট লাগবে। 

কোন আত্নীয়ের রেফারেন্স লাগবে।

পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে

জাতীয় পরিচয়পত্র/ড্রাইভিং লাইসেন্স। 

দুই কপি ছবি। 

কোন সম্মানিত পেশায় নিযুক্ত থাকলে সেই পেশায় নিযুক্ত কোন কপি দেখতে হবে। 

বিদ্যুৎ কিংবা গ্যাস বিলের কপি। 

রেফারেন্স।

আরও পড়ুনঃ তালিকাভুক্ত ব্যাংক কি ?

ক্রেডিট কার্ড কিভাবে বানাবো? | ক্রেডিট কার্ড খোলার নিয়ম

ক্রেডিট কার্ড নেয়ার নিয়ম,ক্রেডিট কার্ড বানাতে হলে আপনাকে সবার আগে একটি ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে।

একটি ব্যাংক একাউন্ট করতে আপনাকে যে যে জিনিস সাথে রাখতে হবে তা হল- 

জাতীয় পরিচয়পত্র/ড্রাইভিং লাইসেন্স। 

২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

পুরাতন ব্যাংক হিসাব পত্র।

নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্র/ড্রাইভিং লাইসেন্স। 

নমিনির ছবি। 

নমিনির স্বাক্ষর।

আপনার ব্যাংক একাউন্ট খোলার পর আপনাকে সেই একাউন্টে অর্থ জমা রাখতে হবে।

আপনার আয়ের উৎস, ব্যাংক একাউন্টের হিসাব মিলিয়ে আপনি ভিসা কার্ড পাওয়ার যোগ্য কিনা তা যাচাই হবে।

যদি আপনি ভিসা কার্ড পাওয়ার যোগ্য হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ভিসা কার্ড সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।

একটা ক্রেডিট কার্ড করার নিয়ম প্রক্রিয়াটা অনেকটাই সহজ আর ক্রেডিট কার্ডের জন্যে অ্যাপ্লাই করার নানান রকমের ধাপ রয়েছে। 

এখানে আপনি ক্রেডিট কার্ড বানানোর উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন –

১. আপনার প্রয়োজনীয় ক্রেডিট কার্ড বেছে নিন:

সাধারনত বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অনেক ধরণের ক্রেডিট কার্ড বানানোর অপশন দিয়ে থাকে। 

আপনার প্রত্যাশিত ব্যবহার, প্রয়োজনীয়তা ও আপনার চাওয়া সুবিধাগুলোর উপর ভিত্তি করে কার্ড ঠিক করতে হবে। যেমন – কিছু কার্ড আবার ব্যবসার জন্য সেরা, কিছু ক্রেডিট কার্ড ভ্রমণকারীদের জন্য ভালো, আবার কিছু কার্ড বিনোদনের জন্য তৈরী করা হয়।

আপনার কার্ড বেছে নেওয়ার পর আপনার যোগ্যতা ও ক্রেডিট কার্ডের আবেদনের সঙ্গে আপনাকে যেসব নথিগুলো দিতে হবে, সেইসব সম্পর্কে আপনার ব্যাঙ্কের সাথে কথা বলুন এবং নথিগুলো ব্যাংকে জমা করুন। 

২. ক্রেডিট স্কোর যাচাই করুন:

আবেদন করার পূর্বে আপনার ক্রেডিট স্কোর যাচাই করাটা জরুরি। 

এতে, আপনি আপনার কার্ডের থেকে কী ধরনের সুযোগ সুবিধা পেতে পারেন, সুদের হার কত, কোনো ধরণের পুরস্কারের যোগ্য কিনা; সে সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে জানতে পারবেন। 

বর্তমানে, ৭৫০ বা তার উপর ক্রেডিট স্কোর থাকাটা আবশ্যক বলে ধরা হয়।

৩. আপনার প্রয়োজনীয় নথিগুলো প্রস্তুত করুন: 

যেকোনো ব্যাঙ্ক সাধারণত ক্রেডিট কার্ড বানানোর জন্যে আপনার পরিচয়, ঠিকানা ও আয়ের প্রমাণপএ চাইবে৷

আর আপনার যদি ইতিমধ্যেই একটা অ্যাকাউন্ট থাকে, তাহলে এইসব প্রমাণপত্র নাও লাগতে পারে। 

৪. ক্রেডিট কার্ডটিকে সক্রিয় করুন:

আপনার ক্রেডিট কার্ডের আবেদন সফল হলে ব্যাংকের তরফ থেকে ক্রেডিট কার্ডটি আপনার যোগাযোগের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয় হয়।

সাধারণত, আপনার আবেদন জমা দেওয়ার পর,ব্যাংক ৭ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত সময় নেয়, আপনার সমস্ত নথিগুলো যাচাই বাছাই করার জন্যে।

আর যাচাইকরণ সফলভাবে হলে ব্যাংক আপনার ক্রেডিট কার্ড তৈরী করে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। 

ক্রেডিট কার্ডটি নিতে গেলে আপনাকে একটি স্বাক্ষর করতে হবে ও আপনার পরিচয়পত্র দেখাতে হবে।

কার্ড ব্যবহার করার জন্যে চিঠির মাধ্যমেই আপনাকে একটি পিন (PIN/ব্যক্তিগত পরিচয় নম্বর) পাঠানো হয়। 

পিনটি ব্যাংকে আপনার রেজিস্টার করা মোবাইল নম্বরে পাঠানো হয়। 

এই গ্রীন পিনটি আপনার ক্রেডিট কার্ডে করা যেকোনো লেনদেন প্রমাণের জন্য দরকার লাগে।

আপনি আপনার ক্রেডিট কার্ড ও পিন পাওয়ার পর, এই পিনটি পরিবর্তন করতে আপনি চাইলে আপনার নিকটতম এটিএম-এ যেতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাকে বলে?

কিভাবে অনলাইনে ক্রেডিট কার্ড ফ্রিতে তৈরি করবেন?

বর্তমান সময়ে মানুষের জীবনযাত্রা হয়ে গেছে ইন্টারনেট কেন্দ্রিক। এখন আমরা সকল কাজকর্ম অনলাইনের মাধ্যমে মুহূর্তে করে থাকি। অনলাইনে ব্যাংক থেকে ফ্রীতে ক্রেডিট কার্ড তৈরি করা যায়। আপনি চাইলে খুব সহজে আপনার অনলাইন ব্যাংকের মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ডটি তৈরি করতে পারেন  খুব সহজে। অনলাইনে ক্রেডিট কার্ড ফ্রিতে কিভাবে তৈরি করবেন চলুন জেনে নেই।

ক্রেডিট কার্ড অনলাইনে পেতে হলে আপনার  যে ব্যাংকে ব্যাংক হিসাবে রয়েছে সেই ব্যাংকে অনলাইন এ ভিজিট করতে হবে।

ব্যাংকের সাইটে ক্রেডিট কার্ড অনলাইনে পেতে বিস্তারিত নিয়মাবলি দেয়া থাকে। 

একটি কার্ড করতে যাবতীয় তথ্যসমূহ নির্ভুল ভাবে প্রদান করতে হবে।

 তথ্যসমূহ পূরণ করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রের স্ক্যান কপি ও পাঠাতে হবে।

ব্যাংক যাবতীয় সব কাগজ পএ যাচাই-বাছাই করে আপনার আবেদন সঠিক হলে আপনার প্রয়োজনীয় ক্রেডিট কার্ডটি তৈরি করে দিবে। 

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম

যে ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড প্রদান করে, এবং যে ক্রেডিট কার্ড গ্রহন তারা এক ধরনের চুক্তিতে প্রবেশ করেন। এটি বিল পেমেন্ট করার জন্য একটি দারুন ব্যবস্থা এবং সবচেয়ে নিরাপদ উপায়।ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের জন্য আপনার কিছু নিয়ম জানা প্রয়োজন। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের কিছু ধাপ অনুসরন করতে হবে:

   ১. ক্রেডিট কার্ড অ্যাক্টিভ বা চালু করা

 যখন কোনো একটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড দেবে, তখন সর্বপ্রথম কাজ হচ্ছে    ক্রেডিট কার্ডটিকে অ্যাক্টিভ বা     চালু  করা। কেননা ক্রেডিট কার্ড যদি অ্যাক্টিভ করতে না পারেন তাহলে, আপনি কখনোই ক্রেডিট কার্ড থেকে       পে করতে কিংবা কোনো প্রকার লেনদেন করতে পারবেন না। 

   ২.ক্রেডিট কার্ডের পিন নম্বর সেট করা

ক্রেডিট কার্ড অ্যাক্টিভ করার পরে আপনাকে একটি পিন নাম্বার সেট করতে হবে। পিনটি হতে হবে চার ডিজিটের অর্থাৎ চারটি সংখ্যার। এই পিন নম্বরের সাহায্যে সহজেই আপনি লেনদেন করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনাকে পিন নম্বরটি অবশ্যই মনে রাখতে হবে বা কোথাও সংরক্ষণ করে রাখতে হবে কারণ, লেনদেনের সময় প্রতিবার আপনার এটি প্রয়োজন পড়বে। এই পিন নম্বরটি কখনো কাউকে বলা যাবে না। 

   ৩. কাগজপত্রের ব্যাপার বা ডকুমেন্টারি সাবজেক্ট 

ক্রেডিট কার্ড চালু ও পিন নম্বর সেট করার পর আপনাকে দরকারি  কাগজ-পত্র যত্ন সহকারে রাখতে হবে।আপনি যখন ক্রেডিট কার্ড গ্রহন করবেন তখন, ব্যাংকে আপনাকে কিছু কাগজপত্র অবশ্যই জমা দিতে হবে।

এক্ষেত্রে আপনার জন্ম নিবন্ধনের ফটেকপি,  এন আই ডি কার্ডের ফটোকপিসহ আরও কিছু ডকুমেন্টস জমা দেয়ার প্রয়োজন পড়ে। আপনার কার্ডে কোনো সমস্যা হলে, তখন আপনি এই কাগজগুলো দেখিয়ে আবার আপনার ক্রেডিট কার্ড কে ঠিক করতে পারবেন। 

   ৪. ক্রেডিট কার্ডের শর্ত ভালোভাবে জানুন

আপনি যদি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে চান তবে, অবশ্যই আপনাকে এর কিছু শর্ত ও নিয়মাবলি সম্পর্কে খুবই ভালোভাবে জানতে হবে।

হয়ত দেখা যাবে আপনি সারা মাস খরচ করেছেন ৫০হাজার টাকা। ব্যাংকে গিয়ে শুনলেন বা দেখলেন আপনার ক্রেডিট কার্ড বিল ৮০ হাজার টাকা। এমন হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়,হতে পারে কারন তারা বিভিন্ন চার্জ ধার্য করতে পারে।

সুতরাং, তারা  কিভাবে চার্জ করবে, এ বিষয়গুলো অবশ্যই খুব ভালো ভাবে জানা থাকা জরুরি। তাছাড়া, তাদের বিভিন্ন অফার থাকে ক্রেডিট কার্ডের জন্য, সেসব বিষয় সম্পর্কেও জানা থাকা ভাল। এতে আপনার অনেক টাকা সেভ হবে।

   ৫. ক্রেডিট কার্ডের গোপনীয়তা সম্পর্কে বুঝুন 

ক্রেডিট কার্ডের গোপনীয়তা সম্পর্কে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে সাধারনত কিছু স্ক্যামিং ওয়েবসাইট আছে যারা আপনার কাছে কার্ড সম্পর্কে তথ্য জানতে চাইবে,এদেরকে কখনো তথ্য দেয়া যাবে না।

ক্রেডিট কার্ডের(Credit Card) বাৎসরিক চার্জ

ক্রেডিট কার্ডের চার্জ বা ক্রেডিট কার্ড খরচ  নিয়ে আমরা সবাই কম বেশি চিন্তা করে থাকি।তবে বর্তমানে অধিকাংশ ব্যাংকই বিনামূল্যে ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে থাকে। ক্রেডিট কার্ড এর বার্ষিক চার্জ ব্যাংকভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। সাধারনত অনেক ক্ষেত্রে রিওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে আপনি কিছু চার্জ মওকুফ করাতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয়,আপনি ক্রেডিট কার্ড যে ব্যাংক থেকে নিতে চান, সে ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে উক্ত ক্রেডিট কার্ড এর খরচ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করা ও পছন্দসই ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ করা। 

ক্রেডিট কার্ড( Credit Card)এর সুবিধা ও অসুবিধা

ক্রেডিট কার্ড এর কিছু সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে আমরা কিছু আলোচনা করব শুরুতে ক্রেডিট কার্ড এর সুবিধা নিয়ে –

ক্রেডিট কার্ড এর সুবিধা

১. নিশ্চিত ভাবে বিল পেমেন্ট করা যায়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত খরচ করতে হয় না।

২. তৎক্ষণাৎ দামি কিছু কেনার ক্ষেত্রে টাকার জন্য চিন্তা করতে হয় না।

৩. ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের রিওয়ার্ড ও ডিসকাউন্ট দিয়ে থাকে ব্যাংকগুলো।তাই। ক্রেডিট কার্ড এ ব্যয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অফার এর মাধ্যমে আয় করা সম্ভব।

৪. ব্যাগ থেকে অনেক সময় টাকা চুরি হয়ে যায়।তাই ক্রেডিট কার্ড থাকার ফলে টাকা চুরির কোনো চিন্তা করতে হয় না।

৫. ডেবিট কার্ড বা চেক ব্যবহারের চেয়ে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার নিরাপদ। কারণ কেনাকাটার পর পেমেন্ট গেটওয়ে বা মার্চেন্টের সেবায় কোনো অসামঞ্জস্যতা ধরা পড়লে ক্রেডিট কার্ডে সহজেই রিফান্ড রিকোয়েস্ট করা যায় ও রিফান্ড নেয়া যায়। 

৬. ক্রেডিট কার্ড এর আরো একটি ভালো দিক হল অনেক কম সুদেই, অনেকসময় শূন্য শতাংশ সুদেও ঝণ পাওয়া যায়।

সব কিছুর ভালো ও মন্দ দিক থাকে। ক্রেডিট কার্ড ও তার ব্যতিক্রম নয়।এত সুবিধার মাঝেও ক্রেডিট কার্ড এর কিছু মন্দ দিকও রয়েছে। ক্রেডিট কার্ড এর কিছু অসুবিধা হলোঃ

ক্রেডিট কার্ড এর অসুবিধা

১. সাধারনত এতে মানুষের খরচ করার পরিমাণ বেড়ে যায়। যার ফলাফল দেখা দিতে পারে অযথা আর্থিক অস্থিতিশীলতা

২. কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন করেন বা না করেন কার্ডের জন্য বাৎসরিক এক প্রকার চার্জ প্রদান করতে হবে।

৩. ক্রেডিট কার্ড এ বিল যথা সময়ে পরিশোধে ব্যর্থ হলে বড় অংকের সুদ গুনতে হয় যা খুবই বিব্রতকর।

পরিশেষে 

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার নিয়ে আমরা অনেকটা আলোচনা করলাম। এখন ক্রেডিট কার্ড আপনি ব্যবহার করবেন কি করবেন না,তা সম্পূর্ন আপনার ইচ্ছা। ক্রেডিট কার্ড এর উপকার ও অপকার দুটোই রয়েছে। তাই জেনে বুঝে ব্যবহার করা উত্তম। 

Frequently Asked Questions

১. ক্রেডিট কার্ড বন্ধ করার উপায়?

আপনার ক্রেডিট কার্ড যে ব্যাংক থেকে নেয়া সেই ব্যাংকে যোগাযোগ করুন অথবা তাদের কাস্টমার কেয়ারের সাথে ফোনে কথা বলুন। তবে কিছু কিছু ব্যাংকের অ্যাপ থাকে, চাইলে আপনার কার্ড তাদের অ্যাপ থেকেই বন্ধ করতে পারবেন।

২. ক্রেডিট কার্ড থেকে কী টাকা উঠানো যায়?

না,আমরা ক্রেডিট কার্ড থেকে কখনোই টাকা উঠাতে পারব না।

৩. কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ভালো?

কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ভালো,তা বলা মুশকিল। কারণ বিভিন্ন ব্যাংক গ্রাহকের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বিভিন্ন প্যাকেজ ঘোষণা করে। একটা একজনের জন্য ভালো সেটা অন্য জনের জন্য ভালো না ও হতে পারে। 

Leave a Comment